—
-Press Release: December 11 – What the National University Vice-Chancellor Said
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ১১ ডিসেম্বর – যা বললেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর
বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমানে পরিবর্তনের এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে অবস্থান করছে। বিশেষত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়—যা দেশের সর্ববৃহৎ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলে—সেখানে শিক্ষার মানোন্নয়ন, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ক্যাম্পাস গঠনের বিষয়টি প্রতিনিয়তই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এ প্রেক্ষাপটে ২০২৫ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন বার্তা নিয়ে এসেছে।
এই বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছেন—“শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতীতের মতো দলাদলি আর চলবে না।” তাঁর এই বক্তব্য শুধুই একটি সতর্ক বার্তা নয়, বরং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২,২০০+ কলেজের শিক্ষা-পরিবেশকে পুনর্গঠনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই প্রতিবেদনে ১১ ডিসেম্বরের বিজ্ঞপ্তি ও তার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
—Press Release: December 11 – What the National University Vice-Chancellor Said
শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোকে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে গেলে আগে প্রয়োজন—ক্যাম্পাসে স্থিতিশীলতা, শিক্ষকের পেশাদারিত্ব, পরীক্ষা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন,Press Release: December 11 – What the National University Vice-Chancellor Said
“শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতীতের মতো দলাদলি আর চলবে না। কলেজগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব সৃষ্টি করে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে কোনো ধরনের ভেদাভেদ বা পক্ষপাতিত্ব বরদাস্ত করা হবে না।”
Press Release: December 11 – What the National University Vice-Chancellor Said
Press Release: December 11 – What the National University Vice-Chancellor Said
এ বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট—বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন ক্যাম্পাসে দলাদলি ও অশান্ত পরিবেশের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করছে।
—
শিক্ষকদের ভূমিকা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে কঠোর মন্তব্য
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভাইস-চ্যান্সেলর এক পর্যায়ে বলেন, শিক্ষকেরা যদি নিজেরাই বিভক্ত থাকেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে আদর্শ শিক্ষা পাবে?
তিনি মনে করিয়ে দেন—শিক্ষকদের প্রধান দায়িত্ব জ্ঞান দেওয়া, শিক্ষার্থীদের মন গঠন করা। রাজনৈতিক পরিচয় বা প্রভাব বিস্তারকে শিক্ষকতার অংশ বানানো হলে তা সরাসরি শিক্ষার মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
তিনি সকল শিক্ষককে সতর্ক করে আরও বলেন—
শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে হবে
শিক্ষার্থীদের প্রতি আচরণে শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা বজায় রাখতে হবে
কলেজের রুটিনমাফিক ক্লাস এবং পরীক্ষার কাজে সম্পৃক্ত থাকতে হবে
রাজনৈতিক দলের লেবেল লাগিয়ে কোনো ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি বা সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না
এ বক্তব্য শিক্ষকদের মধ্যে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শিক্ষকদের একটি বড় অংশ এই পদক্ষেপকে শিক্ষার উন্নয়নে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
—Press Release: December 11 – What the National University Vice-Chancellor Said
কলেজ পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করার ঘোষণা
বিজ্ঞপ্তিতে ভাইস-চ্যান্সেলর উল্লেখ করেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এখন কলেজ ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশনের পথে এগোচ্ছে। কলেজের শিক্ষার মান, শিক্ষক উপস্থিতি, পরীক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়া, প্রশাসনিক কার্যক্রম—সব কিছু এখন থেকে পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন—
“কলেজ পরিচালনায় অনৈতিকতা বা অব্যবস্থাপনা থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়—এমন কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না।”
এছাড়া তিনি কলেজ পরিদর্শনের গুরুত্ব তুলে ধরে জানান—আগামীতে নিয়মিত ভিত্তিতে surprise inspection পরিচালিত হবে, যাতে শিক্ষার মানগত উন্নয়ন অব্যাহত থাকে।
—
ডিডিপি কলেজে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য
১০ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে ভাইস-চ্যান্সেলর ডিডিপি কলেজে একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় তিনি তৃতীয় ও পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের উন্নত পরিবেশে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
তিনি কলেজ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন—
পরীক্ষার ফল প্রকাশে কোনো দেরি যেন না হয়
প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে
ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে
তিনি আরও বলেন—শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি শিক্ষার মান নিশ্চিত করা জরুরি। শুধুমাত্র ভবন নির্মাণ বা অবকাঠামো বৃদ্ধি করলে হবে না, এর সাথে প্রয়োজন শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধা।
—Press Release: December 11 – What the National University Vice-Chancellor Said
দলাদলি কেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ক্ষতিকর?
ভাইস-চ্যান্সেলরের মন্তব্যের মূল ফোকাস ছিল—দলাদলি বন্ধ করা। কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ?
১. শিক্ষার্থীর শান্তিপূর্ণ শিক্ষা ব্যাহত হয়
দলাদলি থাকলে ক্লাসে আক্রমণ, হুমকি, জায়গা দখল, সেশন জট—এসব সমস্যা বাড়ে।
২. শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন শিক্ষার ক্ষতি করে
এক দল অন্য দলের বিপক্ষে গেলে শ্রেণিকক্ষের পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
৩. প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে পক্ষপাতিত্ব সৃষ্টি হয়
যে কলেজ রাজনৈতিক প্রভাবশালী তার সুবিধা বেশি হয়, অন্যরা বঞ্চিত হয়—এতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায্যতা নষ্ট হয়।
৪. দেশের শিক্ষা সূচকে নেতিবাচক প্রভাব
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশে উচ্চশিক্ষায় সবচেয়ে বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। এ ব্যবস্থায় দলাদলি চলতে থাকলে দেশের সমগ্র শিক্ষা খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
—
গত কয়েক বছর ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে। তাতে রয়েছে:Press Release: December 11 – What the National University Vice-Chancellor Said
পরিবর্তনের পথে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
সেমিস্টারভিত্তিক পরীক্ষা
ফল প্রকাশে স্বচ্ছতা
অনলাইন সার্ভিস বাড়ানো
ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বৃদ্ধি
কারিকুলাম আধুনিকীকরণ
এর সঙ্গে এবার যুক্ত হলো রাজনৈতিক দলাদলি বন্ধ করার কঠোর নির্দেশনা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে—এটি কেবল নির্দেশনা নয়, বরং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যতের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি।
বহু শিক্ষার্থী আশা করছেন——
শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা
সেশনজট কমবে
পরীক্ষা সময়মতো হবে
শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস নেবেন
ক্যাম্পাসে মারামারি, দখলদারি, রাজনৈতিক চাপ কমবে
পড়াশোনার পরিবেশ আরও ভালো হবে
এই ঘোষণা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতিবাচক বার্তা তৈরি করেছে।
—Press Release: December 11 – What the National University Vice-Chancellor Said
শেষ কথা
১১ ডিসেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের বক্তব্য ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি স্পষ্ট করে—এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ পরিবর্তন হবেই।
কলেজে দলাদলি, অশান্তি, অনিয়ম—এসব অতীতের গল্প হতে চলেছে।
এটি শুধু প্রশাসনের সিদ্ধান্ত নয়, বরং বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক—সবার প্রত্যাশা—এই নীতিমালা বাস্তবে রূপ নিক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হোক।
—
