Image depicting effective NU Suggestion tips for preparing and succeeding in National University exams.

“Interim Government Offers Scholarships for Honours Students at Public & Private Universities and Colleges-Madrasas”

“Interim Government Offers Scholarships for Honours Students at Public & Private Universities and Colleges-Madrasas”
“Interim Government Offers Scholarships for Honours Students at Public & Private Universities and Colleges-Madrasas”

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট (PMEAT) — দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তিসহায়তা ২০২৫

বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে আর্থিক অস্বচ্ছলতা ও সামাজিক-আর্থিক ব্যাঘাত অনেক ছাত্রছাত্রীকে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। এমন প্রেক্ষাপটে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট (PMEAT) হলো একটি বড় উদ্যোগ, যা দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য “ভর্তি সহায়তা” ও “উপবৃত্তি/ভর্তিকালীন বৃত্তি” প্রদান করে থাকে। ২০২৫ সালের সাম্প্রতিক ঘোষণায় আবারও PMEAT-র অধীনে ভর্তিকালীন সহায়তা চালু হয়েছে — বিশেষ করে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া বা ভর্তিকৃত নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য। এই আর্টিকেলে আমি PMEAT এর ভর্তিসহায়তা প্রোগ্রাম (কার্যকারিতা, আবেদন প্রক্রিয়া, যোগ্যতা, সুবিধা, এবং সাময়িক প্রেক্ষাপট) বিশ্লেষণ করব।

bistarito janun
—https://thedailycampus.com/scholarship/230240?fbclid=IwdGRjcAOeFxpjbGNrA54WhmV4dG4DYWVtAjExAHNydGMGYXBwX2lkDDM1MDY4NTUzMTcyOAABHjlNwrihRHMyQGd7IehNFCiU0vhhGhRV9ymwsMcBTa8SF8WhK4393k3rARSt_aem_SqvgyC44vNcrB5x8PM-PJA

PMEAT — পরিচিতি ও প্রোগ্রামের পরিধি

"Interim Government Offers Scholarships for Honours Students at Public & Private Universities and Colleges-Madrasas"
“Interim Government Offers Scholarships for Honours Students at Public & Private Universities and Colleges-Madrasas”

PMEAT হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান, যা দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধাপের শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে — ভারপ্রাপ্ত ভর্তি-সহায়তা, বৃত্তি (stipend / scholarship), উপবৃত্তি, চিকিৎসা অনুদান, এবং উচ্চশিক্ষার ফেলোশিপ।

“ভর্তি সহায়তা” (Admission Assistance / ভর্তিসহায়তা) তাদের অন্যতম প্রধান স্কিম। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে PMEAT দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই ভর্তিসহায়তা শুরু করে।

বর্তমানে, PMEAT নিচের ধাপে ভর্তিসহায়তা প্রদান করে থাকে:

  • শিক্ষা স্তর ভর্তিসহায়তার অর্থ (প্রতি-জন)

মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ–দশম) ৫,০০০ টাকা
উচ্চ মাধ্যমিক (একাদশ–দ্বাদশ) ৮,০০০ টাকা
স্নাতক / সমমান (অনার্স/পাস/সমমান) ১০,০০০ টাকা

এই অর্থ সহায়তার লক্ষ্য — সামাজিক ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া, কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাক্ষেত্রে সুযোগ দেওয়া এবং তাঁদের পঠন-পাঠন নিশ্চিত করা, যাতে অর্থনৈতিক কারণে কোনো meritorious শিক্ষার্থী পড়াশোনা থেকে বাদ না পড়ে।

“Interim Government Offers Scholarships for Honours Students at Public & Private Universities and Colleges-Madrasas”

  • ২০২৫ সালের ঘোষণাঃ নতুন আবেদন ও কার্যপ্রক্রিয়া

২০২৫ সালের জন্য PMEAT-র ভর্তি সহায়তা (ভর্তিকালীন বৃত্তি) পুনরায় ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে (যেমন) বলা হয়েছে যে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা বা সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া দরিদ্র ও মেধাবী প্রথম বর্ষের (ভর্তি নিশ্চিতকরণ পাওয়া) শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইন — https://www.eservice.pmeat.gov.bd/admission/ এ গিয়ে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের ধাপ সাধারণত নিচের মতো:

1. প্রথমে যদি একাউন্ট না থাকে, রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য ব্যক্তিগত তথ্য (নাম, পিতা-মাতা, জন্মনিবন্ধন, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর) দিতে হবে।

2. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র — শিক্ষার্থীর ছবি, স্বাক্ষর, জন্ম নিবন্ধন সনদ, অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), এবং প্রতিষ্ঠান-প্রধানের সুপারিশ ফর্ম।

3. আবেদন করার পর, PMEAT কর্তৃপক্ষ আপনার তথ্য যাচাই করবে। নির্বাচিত হলে মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে জানানো হবে, এবং নির্ধারিত মোবাইল বা ব্যাংক/মোবাইল-ব্যাংকিং একাউন্টে অর্থ প্রদান করা হবে।

4. PMEAT ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আবেদন দাখিলের ৩০ (ত্রিশ) কর্মদিবসের মধ্যে অর্থ দেওয়া হয়।

 

“Interim Government Offers Scholarships for Honours Students at Public & Private Universities and Colleges-Madrasas”

কেন PMEAT-র এই ভর্তিসহায়তা গুরুত্বপূর্ণ?

✨ উচ্চশিক্ষায় সামাজিক বৈষম্য হ্রাস

বাংলাদেশে অনেক মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রী প্রতিদিনই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয় কারণ ভর্তি ফি, ভর্তি খরচ, পরীক্ষার খরচ — এগুলো পরিবারের জন্য ভاری হয়ে দাঁড়ায়। PMEAT-র এই ভর্তিসহায়তা, অর্থাৎ ৫–১০ হাজার টাকার সহায়তা, শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ “শুরু সহায়তা” হিসেবে কাজ করে। এতে করে দরিদ্র পরিবারও সন্তানের উচ্চশিক্ষায় ভর্তি করাতে পারে।

🎓 শিক্ষার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা

অনেকে উচ্চ মাধ্যমিক বা প্রথম বর্ষে ভর্তি হলেও, আর্থিক চাপের কারণে আগামী সেমিস্টারে বা পরবর্তী বছর পড়া চালিয়ে যেতে পারেন না। PMEAT শিক্ষার্থীদেরকে প্রথম ধাপে ভর্তিসহায়তা দিচ্ছে — যা পড়াশোনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রথম ধাপটাকে নিরাপদ করে দেয়।

💡 সামাজিক উন্নয়ন ও মেধার বিকাশে সহায়ক

যদি শুধু সমৃদ্ধ বা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকেই শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা পায়, তাহলে সামাজিক সৃজনশীলতা, প্রতিভা ও মেধার বিকাশে বাধা তৈরি হয়। PMEAT-র মাধ্যমে দরিদ্র ও মেধাবী শিশুরাও সুযোগ পায় — ফলে প্রতিভার বিকাশ এবং সামাজিক উন্নয়নের দিক থেকে এটা ইতিবাচক।

PMEAT-র বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা

যদিও PMEAT-র এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়, তবে বাস্তবে কিছু চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে — যেগুলো সচেতনতা, কার্যনির্ভরতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।

আবেদন ও ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া — অনলাইনে আবেদন ও তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া নিশ্চিত হওয়া জরুরি। প্রসঙ্গে PMEAT অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন, কাগজপত্র আপলোড, প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ ফর্ম সংগ্রহ ইত্যাদি ধাপ রেখেছে।

অর্থ প্রদানের সময়সীমা — PMEAT বলেছে, আবেদন দাখিলের ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে অর্থ প্রেরণ করা হবে। কিন্তু বাস্তবায়ন ও দ্রুততা নির্ভর করবে প্রশাসনিক দক্ষতা ও নাগরিকদের সচেতনতার ওপর।

সতর্কতা ও স্বচ্ছতা প্রয়োজন — অনুদান বা বৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নিশ্চিত হওয়া দরকার যে — উপযুক্ত ও দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরাই বাছাই পাচ্ছে। পাশাপাশি, আবেদনকারী ও প্রতিষ্ঠান-প্রধান উভয়কেই দায়িত্বশীল হওয়া উচিৎ।

বৈষম্য ও সুযোগ-অসামঞ্জস্য — যেসব শিক্ষার্থীর পরিবার বা বিদ্যালয় PMEAT-র তালিকায় নেই, বা যারা অনলাইনে আবেদন করতে সক্ষম নয় — তারা হয়তো বঞ্চিত হতে পারেন। তাই PMEAT-এর আওতায় শিক্ষার্থীদের বিস্তৃতি নিশ্চিত করা জরুরি।

 

২০২৫ এবং সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট

২০২৫ সালের দিকে PMEAT-র কার্যক্রম আর দৃঢ় হয়েছে। সাম্প্রতিকভাবে (২০২৫ সালের) PMEAT-এর উদ্দেশ্যে আর্থিক অসচ্ছল ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি ও বৃত্তি বিতরণ আবার শুরু হয়েছে — মাধ্যমিক থেকে স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত।

এছাড়া, PMEAT-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (pmeat.gov.bd) “ভর্তি সহায়তা”, “উপবৃত্তি / বৃত্তি”, “চিকিৎসা অনুদান”, “ফেলোশিপ”–এর মতো বিভিন্ন সেবা স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে।

এই প্রোগ্রামের পুনরুজ্জীবন ও সম্প্রসারণ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আশার আলো — বিশেষ করে যারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে।

আপনি (যদি ছাত্র/ছাত্রী হন) কি করতে পারেন? — আবেদন ও প্রস্তুতির পরামর্শ

যদি আপনি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে থাকেন বা ভর্তি নিশ্চিত করেছেন, তাহলে PMEAT-র ভর্তিসহায়তার জন্য আবেদন করতে পারেন। নিচে কিছু কার্যকর পরামর্শ দেওয়া হলো:

1. দ্রুত আবেদন করুন: https://www.eservice.pmeat.gov.bd/admission/ এই লিংকে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করুন। রেজিস্ট্রেশন না থাকলে আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।


2. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন: যেমন — জন্ম নিবন্ধন সনদ, অভিভাবকের NID, ছবি, স্বাক্ষর এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সুপারিশ ফর্ম।

3. ঠিক তথ্য দিন: আবেদন ফরম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি সঠিকভাবে দিন। ভুল তথ্য দিলে আবেদন বাতিল হতে পারে।

4. প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন: যদি আপনার প্রতিষ্ঠান PMEAT-র তালিকায় না থাকে বা সুপারিশ ফরম পাওয়া যায় না — তাহলে কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানকে অনুরোধ করুন।

5. অভিযোগ ও অনুসরণ রাখতে হবে: আবেদন করার পরে সময়মতো অর্থ না পেলে বা সমস্যায় পড়লে, PMEAT-র অফিসিয়াল হেল্পডেস্ক নম্বর (যেমন 01778958356 / 01778964156) তে যোগাযোগ করুন।

 

—“Interim Government Offers Scholarships for Honours Students at Public & Private Universities and Colleges-Madrasas”

উপসংহার

বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা কখনোই শুধুই যোগ্যতা নয় — আর্থিক সক্ষমতার প্রশ্নও। দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন, মেধা এবং ভবিষ্যৎ, কতোটা প্রতিষ্ঠান, সমাজ এবং সরকারের দৃষ্টিতে গুরুত্ব পায়, সেটা অনেক সময় আর্থিক সুযোগ-সুবিধার ওপর নির্ভর করে। PMEAT-র ভর্তিসহায়তার উদ্যোগ এই ‘সুযোগ-সুবিধা’ তৈরি করছে — যেখানে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও মেধা ও ইচ্ছাশক্তি থাকলেই উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাওয়া যায়।

২০২৫ সালের এই সুযোগ যাদের জন্য উন্মুক্ত — তারা যদি সঠিকভাবে আবেদন করে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যোগাড় করে এবং নিয়ম মেনে চলেন, তবে ৫,০০০–১০,০০০ টাকার সহায়তা তাদের শিক্ষাজীবনের শুরুতে — বিশেষ করে ভর্তি চালিয়ে নেওয়ার জন্য — বেশ সহায়ক হবে। এমন উদ্যোগ দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জীবন পরিবর্তন করতে পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *